নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস্ লিঃ নাটোর জেলার লালপুর উপজেলা সদর গোপালপুর-এ অবস্থিত। এটি ১৯৩৩ সালে স্থাপিত বাংলাদেশের চিনি শিল্পের একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিল্প প্রতিষ্ঠান। তৎকালে এ মিলের মালিকানা ব্যক্তিগত ছিল, যার মালিক ছিলেন মেসার্স সুরুজমাল ও নাগরমাল। পরবর্তীতে ১৯৬৫ সালে মিলটি রাষ্ট্রীয় মালিকানায় আসে। জাভা হতে ক্রয়কৃত পুরাতন এ মিলটিতে ১৯৮৪ সাল হতে ১৯৯০ সালের মধ্যে মিলের মাড়াই ক্ষমতা বাড়িয়ে দৈনিক ১,২২০ মেট্রিক টন হতে বাড়িয়ে ১,৫০০ মেট্রিক টন করা হয়েছে। বর্তমানে মিলের বার্ষিক চিনি উৎপাদন ক্ষমতা ১৫,০০০ মেট্রিক টন।
এ মিল জোন এলাকায় আবাদযোগ্য জমির পরিমান প্রায় ৫০ হাজার একর, চাষী সংখ্যা প্রায় ৩৫-৪০ হাজার। এ এলাকায় পর্যপ্ত পরিমান আখ চাষ হওয়ায় এখানকার চাষীদের আখ একমাত্র অর্থকরী ফসল। মিলের ৮টি নিজস্ব খামার রয়েছে যার মোট জমির পরিমান ৪,৮৭৮ একর। কারখানা ও আবাসিক এলাকা; ১৮টি আখ ক্রয় কেন্দ্র এবং বাণিজ্যিক খামার মিলিয়ে মিলের নিজস্ব জমির পরিমান ৪,৯৫৯.৬২৭৫ একর।
নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে ১,২৩৮ জন কর্মকর্তা, স্থায়ী ও মৌসুমী কর্মচারী এবং শ্রমিকের অনুমোদিত পদ থাকলেও বর্তমানে সব মিলিয়ে ৯৭০ জন কর্মরত রয়েছে। কর্মকর্তা কর্মচারীদের সুবিধার্থে মিল এলাকায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ১টি ট্রেনিং কমপ্লেক্স, ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৫টি ক্লাব, ১টি চিকিৎসা কেন্দ্র এবং ৬০১টি আবাসন রয়েছে।
গত মৌসুমে নিজস্ব খামার হতে ৩৪,০০০ মেট্রিক টন আখ সরবরাহ পাওয়া গেছে। বিগত মাড়াই মৌসুমে ২,৫০,০০০ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১৯,১২৫.০০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ২,৫৯,৩১২ মেঃ টন আখ মাড়াই করে ১৯,৯৬৩.৭০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদিত হয়েছে।
স্বাধীনতা উত্তরকাল হতে সুগার মিলটি আর্থ সামাজিক উনয়ন কার্যক্রমের আওতায় মিলজোন এলাকায় রাসত্মাঘাট, কালভার্ট তৈরীর জন্য ১০.৪৮ কোটি টাকা এবং শিক্ষা কার্যক্রমের সহায়তা হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪২.৮৭ লক্ষ্য টাকা অনুদান হিসেবে ব্যয় করেছে।
যোগাযোগঃ ফোন - ০৭৭২৫-৭৫০২২
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS